অতিরিক্ত চিন্তা বা দুশ্চিন্তা করলে কি ক্ষতি হয় ? জানলে আপনি অবাক হবেন। সবসময় টেনশন মাথা থেকে চিন্তা দূর করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনার ভবিষ্যত্ চিন্তা, সংসার জীবন, কর্মক্ষেত্র সকল কিছুই দুশ্চিন্তার কারণ। শিশু-কিশোর, মাঝবয়সী এমনকি বৃদ্ধরাও মানসিক চাপ নেগেটিভ, খারাপ চিন্তা মাথায় ঘুরে। কিভাবে মুক্তি পাবেন তা জানতে বা বিস্তারিত বোঝার জন্য আজকের এই পোস্ট। আশা রাখছি পোস্ট পড়লে মাথা থেকে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
দুশ্চিন্তার বা অতিরিক্ত চিন্তা কি?
অতিরিক্ত চিন্তা বা দুশ্চিন্তা জীবনে নানান ভাবনা চলেই আসে আমাদের মগজের ভেতরে। কোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনায় মগ্ন থাকা বা মাত্রাতিরিক্ত চিন্তাকে দুশ্চিন্তার বা অতিরিক্ত চিন্তা বলে। অতিরিক্ত কোনো কিছু ভালো নয়। অনেকের ভাবনা চিন্তা-ভাবনা না করলে সফল হওয়া যায় না। তবে, অতিরিক্ত চিন্তা-ভাবনা অবশ্যই নেতিবাচক। গবেষণা মোতাবেক, মানসিক অশান্তির মূল কারণ হলো বাস্তব প্রেক্ষাপটের বাইরে চিন্তা-ভাবনা করা। কিন্তু এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি? আগে আমরা জানাবো কেন আমাদের মনের মধ্যে এই নেগেটিভ, খারাপ চিন্তা আসে কেন?
কেন সবার মধ্যে দুশ্চিন্তা আসে
কম বেশি সকল মানুষের মধ্যে খারাপ চিন্তা-ভাবনা ঘুর-পাক খায়। দুশ্চিন্তার যেকোনো জায়গা থেকেই সূচনা হতে পারে। মাথায় কেন অতিরিক্ত খারাপ চিন্তা আসে তার কিছু কারণ তা সম্পর্কে ধারণা দিবো। যেমনঃ
- ঘুম কমে যাওয়া কারণে
- অলসতা
- কাজের পরিমাণ কমে যায়
- ভালোবাসার মানুষ চলে গেলে
- অন্যের প্রতি মায়া
উপরের এই কিছু কারণে ৯০% মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা চলে আসে। মানসিক উদ্বেগ হৃদযন্ত্রের উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে। এই চিন্তা-ভাবনা কিন্তু বেশিরভাগ সময়ে হয় অতীত, না হয় ভবিষ্যত কেন্দ্রিক। অহেতুক দুশ্চিন্তায় মানবজীবনের জন্য ক্ষতিকর।
মাথা থেকে চিন্তা দূর করার উপায়
মাথা থেকে অতিরিক্ত চিন্তা। নেগেটিভ, খারাপ চিন্তা দূর করার অনেক উপায় রয়েছে। দুশ্চিন্তা করা একটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু কখন এই দুশ্চিন্তা অহেতুক এবং অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে, সেটা বুঝতে হবে। যেকোনো সমস্যা থেকে বের হওয়ার প্রথম ধাপ হলো সমস্যা কি তা বের করা।
- নিজের জন্য সময় বরাদ্দ রাখা
- সমস্যার সমাধান খুঁজা
- সবার সাথে কথা বলা
- আবেগ নিয়ন্ত্রণ রাখা
নিজের জন্য সময় বরাদ্দ রাখা
মাথা থেকে চাপ বা নেগেটিভ অতিরিক্ত চিন্তা মাথা আসলে নিজের স্বাভাবিক কাজ থেকেই দূরে সরিয়ে দেয়। বই পড়া, ছবি আঁকা, যেসব শখ বহু বছর আগে আপনার ছিল, সেটিতে মনোযোগ দিন কিংবা নতুন করে শুরু করুন। নিজের কাজেই মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। যে কারণে সবকিছু বাদ দিয়ে পুরোনো কিছুতে ফিরে যান। নিজের প্রিয় কাজে ব্যস্ত থাকলে আস্তে আস্তে নিজের মধ্যে হারানো আত্মবিশ্বাসও আসবে।
বারবার সমস্যার কথা না চিন্তা করে সমাধানের পথ বের করুন। সবার সাথে কথা বলুন, নিজেকে কখনো রাখবেন না। ফ্রেন্ড বন্ধু-বান্ধব মধ্যে সময় কাঠানোর চেষ্টা করুন। তারপর নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রন রাখুন। খিটখিটে মেজাজ কিংবা রেগে যাওয়া। সামান্য রাগ হতে পারে আপনার অন্য কোনো সময়ের দুশ্চিন্তার কারণ।যখনই মনে হবে অহেতুক চিন্তা নিজের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে, দীর্ঘ একটা শ্বাস নিয়ে ভাবুন, ‘যা হয়েছে ভালোর জন্যই হয়েছে। সংক্ষেপে হলেও আপনাদের মাঝে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাই সুস্থ জীবন-যাপন পেতে আজ থেকেই এই সু-অভ্যাস গড়ুন।
আশা করছি, মাথা থেকে অতিরিক্ত চিন্তা। নেগেটিভ, খারাপ চিন্তা দূর করার উপায় নিয়ে সঞ্জীবন বিস্তারিত বুঝাতে পেড়েছে। যদি কোন বিষয় সম্পর্কে পরামর্শ বা জানতে চান নিচে কমেন্ট করতে পারেন।